টেকনাফে সর্ববৃহৎ সোলার পার্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
টেকনাফে স্থাপিত দেশের সর্ববৃহৎ সোলার পার্কে বর্তমানে প্রতিদিন ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরুর পর এখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে প্রকল্পটি। ইতিমধ্যে এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেছে টেকনাফের গ্রাহকরা।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, টেকনাফেল হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকায় লবণ মাঠে এই সোলার পার্কটি স্থাপন করা হয়েছে। এটিই দেশের প্রথম সোলার পার্ক। এখান থেকে প্রথমবারের মতো জাতীয় সঞ্চালন গ্রিডে যোগ হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ।
এতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে দেশের বিদ্যুৎ খাতে। ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান জুলস পাওয়ার লিমিটেড (জেপিএল)। নাফ নদীর তীরে সারি করে বসানো হয়েছে ৮৭ হাজার সৌর প্যানেল। এ প্যানেলগুলোর মাঝখানে রয়েছে পাঁচটি সাব-স্টেশন।
একই সঙ্গে প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে কয়েকটি রাস্তা। এ সব সৌর প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ লেদা সাব-স্টেশনের মাধ্যমে সরাসরি জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
টেকনাফ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল ম্যানেজার মিনারুল ইসলাম বলেন, সোলার পার্কটি চালু হওয়ার পর ইতিমধ্যে এর সুফল আসতে শুরু করেছে। আগে লো ভোল্টেজের কারণে বারবার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তো পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
বর্তমানে লো ভোল্টেজ সমস্যা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে দিনের বেলায় গ্রাহকরা সোলার প্যানেলের উৎপাদিত বিদ্যুতের সুবিধাটা পাচ্ছে। সেচ মৌসুমে এটি আরও কাজে লাগবে বলে জানান তিনি।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সহযোগী প্রতিষ্ঠান নাফ সোলার টেকের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গত বছরের ৯ ফেব্র“য়ারি জেপিএলের সঙ্গে বিপিডিবি’র চুক্তি হয়।
এর মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়। দেশের প্রথম সোলার পার্ক হিসেবে এটিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ কিনে জাতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করছে। প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: